নারী এশিয়ান কাপে ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত বাংলাদেশ, সিডনিতে অভিষেক ৩ মার্চ
নারী ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা এএফসি নারী এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালের মার্চে। এই টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাংলাদেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মাইলফলক, আর প্রতিযোগিতার সূচি অনুযায়ী ৩ মার্চ সিডনির ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়ামে চীনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের যাত্রা।
গ্রুপ বি: র্যাঙ্কিং ও চ্যালেঞ্জে ভরপুর
বাংলাদেশ পড়েছে তুলনামূলক শক্তিশালী গ্রুপ ‘বি’-তে। এই গ্রুপে রয়েছে—
চীন (৯ বার চ্যাম্পিয়ন, র্যাঙ্কিং ১৭)
উত্তর কোরিয়া (২ বার চ্যাম্পিয়ন, র্যাঙ্কিং ৯)
উজবেকিস্তান (র্যাঙ্কিং ৫১)
বাংলাদেশের বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং ১২৮ হলেও ৯ আগস্ট র্যাঙ্কিং হালনাগাদ হলে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন দ্বার খুলে দিতে পারে।
বাংলাদেশের ম্যাচ সূচি (গ্রুপ পর্ব):
৩ মার্চ: বাংলাদেশ বনাম চীন (ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়াম, সিডনি)
৬ মার্চ: বাংলাদেশ বনাম উত্তর কোরিয়া (ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়াম, সিডনি)
৯ মার্চ: বাংলাদেশ বনাম উজবেকিস্তান (পার্থ রেকটাঙ্গুলার স্টেডিয়াম, পার্থ)
উল্লেখ্য, উজবেকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১১ সালে ঢাকায়, যেখানে ৩-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা।
শেষ আটে ওঠার সুযোগ
প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। তবে তৃতীয় অবস্থানে থেকেও তিন গ্রুপের মধ্যে সেরা দুটি তৃতীয় দল কোয়ার্টারে উঠতে পারবে। বাংলাদেশের সামনে তাই বাস্তবভিত্তিক লক্ষ্য হতে পারে অন্তত একটি জয় ও একটি ড্র, যা শেষ আটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকের টিকিট
এশিয়ান কাপ কেবল একটি মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা নয়—এটি ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বে ওঠার বড় সুযোগও।
শীর্ষ ৬ দল সরাসরি খেলবে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে।
শেষ আটের দলগুলো ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বে জায়গা পাবে।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সামনে এবার বড় চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বড় সুযোগও। মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে বদলে যেতে পারে দেশের নারী ফুটবলের মানচিত্র।