প্রি-ডায়াবেটিস কী? এটি কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব?

প্রি-ডায়াবেটিস: কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

প্রি-ডায়াবেটিস: সচেতন থাকুন, নিয়ন্ত্রণ করুন

টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আগের স্তরই হলো প্রি-ডায়াবেটিস। অর্থাৎ, এই পর্যায়ে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলেও তা এখনো ডায়াবেটিস হিসেবে বিবেচিত হয় না। তবে এ সময় সতর্ক না হলে পরবর্তীতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে রূপ নিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রি-ডায়াবেটিস কোনো স্থায়ী অবস্থা নয় — স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

কীভাবে বুঝবেন আপনি প্রি-ডায়াবেটিসে আছেন?
প্রি-ডায়াবেটিসের সাধারণত কোনো লক্ষণ থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ধরা পড়ে রুটিন রক্ত পরীক্ষা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে।

ঝুঁকি যাদের বেশি —
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা

পেটের চারপাশে মেদ জমা

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা

পারিবারিক ইতিহাস থাকলে

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন প্রি-ডায়াবেটিস?
ওজন নিয়ন্ত্রণ
দেহের বর্তমান ওজনের মাত্র ১০% কমালেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন কমানো উচিত।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার খান

পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, প্রসেসড ফুড, মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন

বেশি পরিমাণে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, দই খান

দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ান
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আতঙ্ক নয়, সচেতনতা
আপনার প্রি-ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সেটাকে আতঙ্ক নয়, বরং সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখুন। জীবনযাত্রায় ছোট ছোট পরিবর্তনও বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।

সুস্থ থাকতে সচেতন হন — আজ থেকেই!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *