প্রতিদিন ডিম খাওয়া—ভালো না খারাপ?
একসময় ডিম নিয়ে নানা ভুল ধারণা প্রচলিত ছিল—যেমন ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি থাকে কিংবা রক্তচাপ বেড়ে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো এসব ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে। চীনে পরিচালিত একটি বড় সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায় না, বরং এটি শরীরের জন্য উপকারী।
কেন খাবেন ডিম?
ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন A, D, B ও B12। এ ছাড়া এতে থাকে লুটেইন ও জিয়াস্যানথিন, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি—বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে ভিটামিন D থাকায় এটি হাড়ের শক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
দিনে কতটি ডিম খাওয়া নিরাপদ?
সাধারণ সুস্থ একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন একটি ডিম খেতে পারেন, সমস্যা নেই। তবে কারও যদি উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ বা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকে, তাহলে ডিমের কুসুম খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে ৫-৬টি ডিম খাওয়া নিরাপদ।
ডিম কীভাবে খাওয়া সবচেয়ে ভালো?
সেদ্ধ ডিম: সহজ, নিরাপদ ও পুষ্টিকর।
পানি-পোচ: কম তেল ব্যবহার হয় বলে স্বাস্থ্যসম্মত।
ভাজা ডিম এড়িয়ে চলুন: মাখন বা তেল ব্যবহারে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে।
কাঁচা ডিম না খাওয়াই ভালো, কারণ এতে স্যালমোনেলা জীবাণু থাকতে পারে।
ডিম সংরক্ষণের নিয়ম
ফ্রিজের নির্ধারিত বক্সে রাখলে ডিম ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
বরফে হিমায়িত করলে কুসুম ও সাদা অংশ ৩ মাস পর্যন্ত টিকে যায়।
ফাটা ডিম কখনো খাবেন না, কারণ এতে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
উপসংহার:
ডিম এখন আর ‘অপবাদে জর্জরিত’ কোনো খাবার নয়। বরং এটি সহজলভ্য, পুষ্টিকর ও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত—যথাযথ মাত্রা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে।