কালো ব্যান্ড, স্তব্ধতা আর সেই ১৫ রানে ৫ উইকেট—জয়ের গল্পে ভয় ও ভালোবাসার ছায়া
শুরুটা নীরবতায়। মিরপুরে মুখর স্টেডিয়াম আজ যেন এক মুহূর্তের জন্য নিঃশব্দ শোকগাঁথায় পরিণত হয়েছিল। মাইলস্টোন স্কুলের হৃদয়বিদারক ঘটনার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা, খেলোয়াড়দের হাতে কালো আর্মব্যান্ড—এই ছিল ম্যাচের সূচনা।
কিন্তু খেলা থেমে থাকে না। জীবন যেমন থামে না শোকের মাঝেও।
বাংলাদেশের জয়টা যেন নিশ্চিতই ছিল। অন্তত শুরুতে তাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ক্রিকেট যখন, তখন এক ওভারেই পাল্টে যেতে পারে সবকিছু। ১৫ রানে পাকিস্তানের ৫ উইকেট পড়ার পর যে ম্যাচ ‘ওদের’ হাতছাড়া, সেটিই ফিরে আসে ফাহিম আশরাফ ও আহমেদ দানিয়েলের লড়াইয়ে। শেষ দুই ওভারে যখন দরকার মাত্র ১৩ রান, মিরপুর যেন নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে। ভয়ের সেই সময়টাকে জাকের আলী এক কথায় বলেন, ‘একটু তো ভয়ও চলে এসেছিল।’
কিন্তু তারপর আসে গল্পের মোড়। রিশাদ হোসেনের বোল্ড, মোস্তাফিজের ম্যাজিক, আর শামীম হোসেনের ক্যাচ নেওয়ার পর দর্শকদের সেই বুনো উদ্যাপন। ম্যাচ শেষে জয়ের নায়ক জাকের আলী বলেন, ‘আমরাও লড়াই করেছি, ওরাও করেছে। ম্যাচটা জিততে পারাটা আমাদের দলের জন্য বড় প্রাপ্তি।’
অধিনায়ক লিটন দাস ম্যাচটি উৎসর্গ করলেন মাইলস্টোন স্কুল ট্র্যাজেডির শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি। আর জাকের স্মরণ করলেন সেই কালো দিনটিকে—‘গতকালের দিনটা বুক ভার নিয়েই কাটাতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের এই জয় শুধুই আরেকটি ক্রিকেট ম্যাচ জেতা নয়, এটা এক ভয়কে জয় করার গল্প। মাঠে, মাঠের বাইরে—এই জয় শুধু রানে নয়, আত্মবিশ্বাস আর মনোবলেও।