নতুন অধ্যায় শুরু, টেস্ট কোচ হলেন আজহার মেহমুদ

নতুন অধ্যায় শুরু, টেস্ট কোচ হলেন আজহার মেহমুদ

পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচিংয়ে ফিরলেন আজহার মেহমুদ

পাকিস্তান ক্রিকেটে যেন কোচ বদলের ধারা থামছেই না। বারবার পরিবর্তনের এই ‘মিউজিক্যাল চেয়ারে’ এবার নতুন করে আসন নিলেন সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ।পাকিস্তান ক্রিকেটে যেন কোচ বদলের ধারা থামছেই না।  পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাকে নিয়োগ দিয়েছে টেস্ট দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে।

 

দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে কাজ করে আসছেন আজহার। কখনো বোলিং কোচ, কখনো সহকারী কোচ—দলের ভেতরের পরিবেশ ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বেশ ভালোভাবেই পরিচিত। এমনকি কিছুদিনের জন্য টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। ৫০ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ কোচের হাত ধরে পাকিস্তান টেস্ট দল কোন পথে এগোয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

 

সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেটে কোচ বদলের হিড়িক নতুন কিছু নয়। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বদলে স্বল্পমেয়াদি নিয়োগই যেন এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজহারের নিয়োগকেও তাই অনেকেই দেখছেন আরেকটি সাময়িক সমাধান হিসেবে।

পাকিস্তান টেস্ট দলের দায়িত্বে আজহার মেহমুদ, পিসিবির ভরসা অভিজ্ঞতায়

পাকিস্তান টেস্ট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ। সোমবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাঁর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিলে চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি লাল বলের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আজহারের অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেট-জ্ঞানকেই বড় করে দেখছে পিসিবি। বোর্ড বলছে, “জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আজহার মেহমুদ পাকিস্তান ক্রিকেটের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিজ্ঞতা, ইংলিশ কাউন্টিতে সফলতা এবং ক্রিকেটীয় বোধ তাঁকে এই দায়িত্বের জন্য যোগ্য করে তুলেছে।”

তবে এই নিয়োগ এসেছে এক টালমাটাল সময়ের মধ্যে। গত সাত মাসেই পাকিস্তান টেস্ট দল পেয়ে গেল তৃতীয় প্রধান কোচ। ডিসেম্বরে দায়িত্ব ছাড়েন জেসন গিলেস্পি, যিনি বোর্ডের ‘হস্তক্ষেপে’ বিরক্ত হয়ে পদত্যাগ করেন বলে গুঞ্জন ছিল। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পান ’৯২-এর বিশ্বকাপজয়ী পেসার আকিব জাভেদ। শোনা যায়, গিলেস্পিকে সরিয়ে দিতে ভেতরে ভেতরে নাকি কলকাঠিও নেড়েছিলেন আকিব।

তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তেমন কোনো ছাপ রাখতে পারেননি তিনি। পরপর পাঁচটি সিরিজে জয়শূন্য পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে মে মাসে তাঁকে সরিয়ে সাদা বলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় নিউজিল্যান্ডের মাইক হেসনকে। হেসনের অধীনে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান।

তবে টেস্ট দলের কোচের পদটি তখন থেকেই পড়ে ছিল ফাঁকা। সেই শূন্যতাই এবার পূরণ করল আজহার মেহমুদের নিয়োগ। এখন দেখার বিষয়, তাঁর নেতৃত্বে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কতদূর যেতে পারে পাকিস্তান।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি চক্রেই ব্যর্থ পাকিস্তান। সর্বশেষ চক্রে তো নবটি দলের মধ্যে একেবারে তলানিতে ছিল তারা। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাইও ছিল সেই ব্যর্থতার বড় দৃষ্টান্ত।

সবশেষে পিসিবির প্রত্যাশা একটাই—আজহারের অভিজ্ঞতা আর পরিকল্পনায় বদলে যাবে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভাগ্য। নতুন চক্রের যাত্রা শুরু হবে আগামী অক্টোবরে, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *